ডালাসে Dallas দর্শন

মে ৪, ২০২৩

আগস্ট ২০, ২০২১

ইংরেজী টিভি সিরিয়াল “Dallas” এর কথা মনে থাকার কথা অনেকের। যাঁরা ৮০’র দশকে ইংরেজি এই দীর্ঘ সোপ অপেরা দেখেছেন তাঁদের জানা আছে, সেকালে এই ছবিটি দর্শক এর কাছে খুব সমাদৃত হয়েছিল। Fall Guy, Knight Rider, Wonder Woman, Incredible Hulk, Kojak এই ছবিগুলো আসার আগে, বাংলাদেশের দর্শকেরা বিটিভি’র বদৌলতে নিয়মিত দেখতে পেতেন Dallas, Tarjan, Roots ইত্যাদি।

তেল ও পশু পালনকে ঘিরে গড়ে ওঠা Ranch মালিক ও তাঁদের পরিবারের নানান ঘটনাক্রম নিয়ে ৩৫৭ টি এপিসোড এর ১৪ টি সিজন নিয়ে Dallas মার্কিনী টিভিতে সম্প্রচারিত হয় ১৯৭৮ থেকে ১৯৯১ সাল অবধি। দীর্ঘকাল ধরে সম্প্রচার ও লোকপ্রিয়তার কারণে এই ধারাবাহিক ছবির পাত্র পাত্রীগুলো মানুষ কাছে ভীষণ পরিচিত হয়ে উঠেছিল। বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। বাংলাদেশের মানুষের কাছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোন একটা শহর ডালাস শুধুমাত্র এই ছবির কারণেই ছিল খুব পরিচিত।

টেক্সাসের পটভূমিতে গড়ে ওঠা ছবিটির J R Ewing , Miss Ellie, Jock চরিত্রগুলো মানুষের মন ছুঁয়েছিল। ছবিটি জিতেছিল ৪ টি Grammy Awards। টাইম ম্যাগাজিন এই ছবিকে বিগত শতাব্দীর সেরা ১০০ টি ধারাবাহিক সিরিজের অন্যতম ঘোষণা করে।

আজ সুযোগ হয়েছিল Dallas ছবিটির শুটিং স্পট ঘুরে দেখার। ব্যবসা বুদ্ধিতে এগিয়ে থাকা মার্কিনীদের বুঝতে অসুবিধে হবার কোন কারণ নেই, ছবি সমাপ্ত হলেও, এমনকি এ ছবির চরিত্রদের অনেকে স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও, ছবিটি ঘিরে এক যুগ ধরে গড়ে ওঠা জনপ্রিয়তা দর্শনীর বিনিময়ে প্রদর্শনযোগ্য। ছবিটির প্রথম দিকের শুটিং যেখানে হয়েছিল সেই জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে পরবর্তী শুটিংগুলো এই Ranch এ সম্পন্ন হয়েছিল। আক্ষরিক অর্থেই বিশাল Ranch এ ছোট একটা বাড়ির পরিসরে ছবির শুটিং এর বেশিরভাগ সম্পন্ন হয়েছে। ছবিতে প্রদর্শিত সুইমিং পুল বাস্তবে ততটা বড় নয়। শয়নকক্ষ, লিভিং রুমে, প্রক্ষালন কক্ষ, ডাইনিং টেবিল তেমনি রাখা হয়েছে। ছবিতে ব্যবহৃত আসবাবপত্র, খাবার প্লেট, কাটলারী, জানালা, দরজা, ছাদ সব তেমনি আছে। প্রবেশ মূল্য ১৬ মার্কিন ডলার জন প্রতি।

বৃদ্ধা একজন চমৎকার নারীর ততোধিক রসাত্মক ও মজার পরিবেশে উপস্থাপন আপনাকে নিয়ে যাবে Dallas এর চরিত্রদের কাছে। আছে ছবি তোলার সুযোগ। আমরা চার জনের ছোট একটা দল। আমাদের দলনেত্রী আশির দশকের শুরুতে কৈশোরে ছিলেন আমাদের মতই। শাহানারা চৌধুরী এডনা আপা। তাঁকে অনুসরণ করে আমাদের পুত্র সাজিদ হাসান চৌধুরী, স্ত্রী সাবিনা পারভীন লীনা আর লেখক এর ছোট দলটি টেক্সাসের গরমে একবলা টেক্সাস কাউবয় এর গন্ধ নিলাম কাউবয় হ্যাট মাথায় চেপে। না বলাটা অকৃতজ্ঞতা হবে। গতকাল প্রচন্ড বৃষ্টি ডিঙিয়ে বড় ভাই ও বন্ধু মাসুদ রহমান ডালাস এয়ারপোর্টে এসেছিলেন তাঁর গাড়ি নিয়ে। সাথে ছিল উপহার কাউবয় হ্যাট। আজ তার সদ্ব্যবহার হল। কৃতজ্ঞতা মাসুদ ভাই ও এডনা দম্পতি। ডালাসে বন্ধুদের আবাস।