গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশ কোন পথে?

আগ ৩০, ২০২৪

গণতন্ত্রের দাবিতে দশকের পর দশক সংগ্রামের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একটি দল সকল গণতান্ত্রিক রীতিনীতি হেলায় অগ্রাহ্য করে দেড় দশক নিরবচ্ছিন্ন ক্ষমতা কায়েম করে ভেবেছিল – এটাই চলবে চিরকাল। সমস্ত স্বৈরশাসক এমনটাই ভাবেন। আওয়ামী লীগও তার ব্যতিক্রম নয়। শেষ পরিণতি কেউ ভাবে না। একে একে তাঁরা ধ্বংস করেন সমস্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার সব প্রাথমিক ধারণা, এমনকি ব্যক্তিকেও। ধ্বংসের প্রলয়ে রক্ষা পান না কেউ। স্বাধীনোত্তরকালে প্রথমবার ক্ষমতা লাভের পরেও তাঁরা এমনটাই ভেবেছিলেন। ২০০৯ সালে ফের সুযোগ পেয়েই তাঁরা নখদন্ত প্রকাশ করতে খুব একটা সময় নেননি। ২০১৩ সালে গণ জাগরণ মঞ্চের শাহবাগ আন্দোলনের উপর ভর করে ২০১৪ সালের নির্বাচন পার হলেন। তার আগেই তাঁদের প্রস্তাবিত তত্বাবধায়ক বাংলাদেশ সরকারের বিধানকে জাদুঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা করলেন শেখ হাসিনাই। ২০১৮ সালের ভোটে, এমনকি রিগিং করার সব ব্যবস্থা হাতে থাকার পরেও ভোটটা ভোটের দিন করার সাহস দেখাতে পারেননি। আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভরে ফেলেন। এইসব কীর্তি বাংলাদেশের সবাই জানে। গোটা দুনিয়া জানে। গোটা দেশে যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই খতম করে দেওয়া হল, তখন কে অংশগ্রহণ করতে যাবে আওয়ামী সরকারের একতরফা ভোটে? তাই ২০২৪ সালের নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল যোগ দেয়নি। ফাঁকতালে ভোটের বাক্সে ছাপ্পা দিয়ে, জনতার বিষ মেরে যদি নিজের বাক্সটা স্ফীত করা যায়, তাহলে মন্দ কী? এমনটাই ভেবেছিল আওয়ামী লীগ।

ভয়াবহ সেই স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে গণঅভ্যুত্থান। হাসিনা দেশত্যাগ করেছেন ভীরুর মত। অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে আওয়ামী লীগাররা এখন আসছেন নানা বেশে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে শাকিব আল হাসানের মতো বিরাট ক্রিকেটারের নামে কেন মামলা ঠোকা হবে? অথচ একথা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়, যে মামলাটা ক্রিকেটার শাকিবের বিরুদ্ধে নয়। হাসিনার স্বৈরাচারের সেবাদাস সাকিবের বিরুদ্ধে। তাও পাবলিক কোর্টে, ক্যাঙারু কোর্টে তো নয়। মামলায় শাকিব নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতেই পারেন। কিন্তু যাঁরা শাকিবের মত স্বৈরাচারের সহযোগীর নামে মামলা হয়েছে দেখে কাতর, তাঁরা কি কখনো ভাবেন হাসিনার আমলে ‘বাংলাদেশের আবু ঘ্রাইব’ আয়নাঘরে ৫-৮ বছর কোন আইনে বন্দি রাখা হয়েছিল রাজনৈতিক বিরোধীদের? কোন আইনে একজন মানুষকে ৮-১০ বছর ধরে গুম করে রাখা যায়? এমন অজস্র নির্যাতন বছরের পর বছর বাংলাদেশ সহ্য করেছে। অভিযোগ উঠছে, অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে নাকি শিক্ষকদের গায়ে হাত দেওয়া হচ্ছে। গায়ে হাত দেওয়া অনুচিত। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানকে ‘১০ টাকার চা-চপ’ প্রতিষ্ঠানে যাঁরা পরিণত করেছিলেন, তাঁদের বিচার হবে না?

প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষক দলদাস। চরম দলবাজি হয়েছে নিয়োগে। উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, প্রোক্টর, পদোন্নতি, বদলি – কোন অপকর্মে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ শিক্ষকরা লিপ্ত ছিলেন না? শিক্ষক লাঞ্ছনা নিঃসন্দেহে নিন্দাযোগ্য। আইন হাতে তুলে নেওয়ার অধিকার কারোর নেই। কিন্তু বিপ্লবে আতিশয্য থাকেই। তবুও তা বন্ধ করার পক্ষেই কথা বলব। ঠিক যেমন বিচারপতি মানিক, যিনি ‘কালা মানিক’ বলে পরিচিত, তিনি তো হোয়াইট কলার সন্ত্রাসী। নিউজরুমে প্রকাশ্য বিতর্কে সঞ্চালিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলতেন। কিন্তু এহেন ব্যক্তিকেও গণঅভ্যুত্থানে পেটানো যায় না। তুমি অধম হইলে, আমি উত্তম হইব না কেন? এটাই সভ্য সমাজের যুক্তি। চোখের বদলে চোখ নীতি অনুসরণ করলে পৃথিবীর সব লোককেই অন্ধ হয়ে যেতে হবে। তবে মনে রাখা দরকার, একটা বিপ্লব হয়েছে। একটা গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। এমন সময়ে কিছু নৈরাজ্য ঘটা অস্বাভাবিক নয়। এর জন্য প্রতি ক্ষেত্রে মেধাবী পড়ুয়াদের ‘ম্যাদাবী’ বলে আক্রমণ করে যদি আওয়ামীপন্থীদের অর্গাজম হয়, তাহলে বলার কিছু নেই।

প্রসঙ্গ যখন শেখ মুজিবুর রহমান, তখন অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি মূর্তি আক্রান্ত হয়েছে। আবার আন্দোলনকারী ছাত্ররাই সেগুলি আগের চেহারায় ফিরিয়ে দিয়েছেন৷ ‘জাতির পিতা’ বলে যাঁরা কাঁদছেন, তাঁদের প্রশ্ন করতে ইচ্ছা হয়, দেশের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ফেসবুকে আর পোস্টারে যখন জাতির পিতার মুখচ্ছবি দেওয়া থাকত, যখন তাঁর ছবি বুকে লাগিয়ে লুঠপাট এবং যাবতীয় বিরোধী মতামত দমন করা হত, তখন বুঝি বঙ্গবন্ধুর অপমান হত না? এক-আধটা নয়, আটটা ব্যাংক যখন আওয়ামী লীগের ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ লুঠপাট করতে দিলেন, তখন কোথায় ছিলেন আওয়ামী লীগের এই রুদালিরা? ফেলানী খাতুন, ফুটফুটে কিশোরী মোয়েটি, তার মৃতদেহ যখন কাঁটাতারের উপর ঝুলছিল, কোথায় ছিল ৫ আগস্ট বিকেল থেকে মানবিক হয়ে ওঠা বিবেক?

আওয়ামী লীগ নাকি খুব হিন্দু দরদি। হাসিনার আমলে নাকি নিরাপদ ছিলেন সংখ্যালঘুরা। ভারতীয় মিডিয়ার এমন নির্জলা মিথ্যাচার দেখে বাংলাদেশের ঘোড়াও হাসছে যে। রামু, নাসিরনগরে হাসিনার আমলে একের পর এক হামলা হয়েছে হিন্দুদের উপর। হাসিনার আমলে একগাদা মন্দির, প্যাগোডা যখন গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছিল তখন এই হঠাৎ মানবিকদের বিবেক কোথায় বন্ধক ছিল? গণতন্ত্রের কথা তো না বলাই ভাল। কারণ তাহলে অতীত টেনে আনতে হয়। ভারতীয় মিডিয়া বাকশাল নিয়ে আলোচনা করার সময় পায় না। ‘জাতির পিতা’-র নিজের দল ছাড়া আর কেউ রাজনীতি করতে পারবে না – এমন চিন্তা মুক্তিযুদ্ধের কোন দলিলে ছিল? ত্বকী, নারায়নগঞ্জের ১৪ বছরের বাচ্চাটি, যাকে অণ্ডকোষ ফাটিয়ে মেরে ফেলা হল, আর গডফাদার শামীম ওসমান ‘খেলা হবে’ হুঙ্কার দিয়ে গেলেন টানা ১৫ বছর – তাঁদের নিয়ে কথা বলবেন না? সেই সন্ত্রাসীর মাথায় কোন গডমাদারের আশীর্বাদ ছিল, তাও কি বলবেন আওয়ামীর তাঁবেদাররা?

১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র আমরা দেখি নাই। এখন সত্যিকার অর্থে আমরা দেখছি কাকে বলে গণতন্ত্র। বহু ভুল হচ্ছে, অন্যায় হচ্ছে। আবার শুধরে নেওয়ার চেষ্টা চলছে, আমরা কথা বলতে পারছি। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ‘কুকুরের মাংস লোভের আকাঙ্ক্ষা’ বলেছিলেন যে মহান সাহিত্যালোচক – তাঁর নামটা লেখা যাচ্ছে। এর নাম গণতন্ত্র। কারণ আমরা জানি আয়নাঘরের খাঁড়া আমাদের মাথার উপর ঝুলছে না। ডিজিটাল সিকিউরিটি আ্যাক্টের খড়্গের নীচে আমাদের ঘাড় নেই। তাই গণঅভ্যুত্থানের প্রধান নেতৃত্বকারী শক্তিরও সমালোচনা করা যাচ্ছে।

অথচ এই অর্জনকে বেহাত করতে ষড়যন্ত্রেরও অন্ত নেই। আমরা দেখতে পাচ্ছি, আচমকাই গত ৫০ বছরের সকল আবর্জনা অপসারণের দাবীতে স্বার্থান্বেষীরা মাঠে নামছে। আবার যথার্থ দাবি নিয়েও মাঠে নামছেন অনেকে। রাজপথে একটির পর একটি পক্ষ। কার পিছনে কার কী খেলা তা নিয়ে অনুমান নির্ভর বাহাস করতে চাই না। তবে কেউ কেউ ভাবছেন বজ্রকঠিন নয় সময়টা, এখনই সুযোগ। আইসিটি মন্ত্রীর গুণ গাওয়া আর নুন খাওয়া লোক, মাত্র কদিন আগে দানবিক দমনের হয়ে পোস্ট দেওয়া লোক, ৪ আগস্ট চট্টগ্রাম নিউ মার্কেটে নিরস্ত্র ছাত্র জনতাকে পিটিয়ে খুন করে বিক্ষোভ সামলানোর কৃতিত্ব নেওয়া মানুষেগুলো ভিন্ন রূপে আবির্ভূত হচ্ছে। সময়টা জটিল। ঘোলা জল প্রবল গতিতে পাক খাচ্ছে বাংলাদেশে। প্রতিটি ইতিবাচক ও সদর্থক পরিবর্তনের সূচিমুখকে কেবল এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের অন্যায্য দাবি উত্থানের মধ্যে দিয়ে খারিজ করা যাবে না। ভুল হচ্ছে। অনভিজ্ঞতার পাথরে ধাক্কা খাচ্ছে বহু কিছু। আবার নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠছে। গণঅভ্যুত্থানের অব্যবহিত পরে যখন সংখ্যালঘুদের উপর হামলা হল, তখন হাজার হাজার ছাত্র পথে নামলেন, পাহারা দিলেন মন্দির। ভয়াবহ বন্যা প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনগণ এগিয়ে এসেছেন। এখনো দেশে ঠিকমত প্রশাসন নেই। নতুন সরকারের নিয়ন্ত্রণ কায়েম হয়নি পুরোপুরি। প্রশাসনের সর্বস্তরে বিগত আওয়ামী স্বৈরাচারের সদস্যরা। তার মধ্যেও অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া জনতা আপ্রাণ লড়ছে দেশকে সাজিয়ে তুলতে। কাজটা কঠিন। বন্যা মোকাবিলার যুদ্ধের মাঝেই সচিবালয় ঘেরাও করলেন সশস্ত্র বাহিনী আনসার সদস্যরা। তাঁদের বঞ্চনা নিয়ে সন্দেহ নেই। নিঃসন্দেহে তাঁদের অনেক ন্যায়সঙ্গত দাবি রয়েছে। কিন্তু একটি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের এখনই নিরাপত্তার গুরুদায়িত্ব বাদ দিয়ে এভাবে পথে নামতে হবে, তাও এই কালান্তক বন্যার মাঝে? এর পিছনে বড় কেউ নেই তো? ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব বাদ দিয়েও মনে হচ্ছে, আলামত খুব ভাল নয়। ছাত্র জনতার সতর্কতা শুধু প্রয়োজনীয় নয়, জরুরি।

পুরনো চশমা আঁটা চোখে, কান তুলো গুঁজে বন্ধ করে এ বিপ্লব আপনি দেখতে পাবেন না। এ বিপ্লব আপনি খুঁজে পাবেন নগরীর দেয়ালে দেয়ালে উৎকীর্ণ স্লোগানে। দক্ষ ও আনাড়ি হাতের অজস্র ভাবের প্রকাশে। বিপ্লব অজস্র মস্তিষ্কের লাখো অর্গানিক চিন্তার অংশগ্রহণ। ১৯৮৮ ও ১৯৯১ সালের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরে এবারের সর্বনাশা বন্যায় মানুষের অভাবনীয় ঐক্য ও অংশগ্রহণ দেখছি আমরা। সর্বস্ব পণ করে দাঁড়িয়েছেন মানুষ। জনতার এই অভূতপূর্ব ঐক্যের জনক গণঅভ্যুত্থান। তার যাবতীয় ত্রুটি ও মহত্ব নিয়েই সে উজ্জ্বল।

বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে। দুনিয়া জুড়ে ঘটে যাওয়া যাবতীয় বিপ্লবের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে বিচার করতে হবে সমকালকে। অভ্যুত্থান বা বিপ্লব প্রচেষ্টায় নৈরাজ্য হয়, নৈরাজ্য স্বাভাবিক। একইসঙ্গে যন্ত্রণারও বটে। ফরাসী বিপ্লবোত্তর ‘রেইন অফ টেরর’ বাদ দিয়ে কিন্তু ফরাসী বিপ্লবের অম্লান গাথা লেখা যাবে না। সতেরো থেকে ২০ হাজার মানুষকে গিলোটিনে চড়িয়েছিল বিপ্লব। শেষ অবধি গিলোটিনের নায়ক রোবসপিয়রকেও গিলোটিনেই চড়ানো হয়। দশ বছরের মাথায় নেপোলিয়ন বোনাপার্ট একনায়ক হিসাবে ফরাসী দেশে জেঁকে বসেছিলেন। কিন্তু তিনিও বিপ্লবের অর্ন্তবস্তুকে পুরোপুরি বাদ দিতে পারেননি। বিপ্লব বা অভ্যুত্থানের পথ একরৈখিক নয়, কুসুমাস্তীর্ণ নয়। অভ্যুত্থান কোনও ডিনার পার্টি নয়। আবার একথাও সত্য, যে বিশৃঙ্খলাই বিপ্লব নয়। প্রতিশোধ বিপ্লব নয়। যে অন্যায় ঘটে গেছে, তা যেন আর কেউ না ঘটাতে পারে, তার স্থায়ী ব্যবস্থা ও বন্দোবস্ত করাই বিপ্লব। কিন্তু মনে রাখা দরকার, লড়াই মানুষের জীবনের প্রাণভোমরা। লড়াইয়ের উদ্দীপনাকে ধারণ করে রাখা গেলে, তা সঠিক পথেই দিশা খুঁজে নেবে। আঁতুড়ঘরে থাকা বিপ্লবের প্রতিটি সমালোচনার মধ্যে সে তার পথ খুঁজে নেবে।

খুব বিতর্ক হচ্ছে একটি বিষয় নিয়ে। ৫ আগস্ট কি বাংলাদেশ নতুন করে স্বাধীনতা পেল? হ্যাঁ, অবশ্যই স্বাধীনতা দিবস। ৫ আগস্ট মুক্তি এনে দিয়েছে। এই স্বাধীনতার স্বাদ অমূল্য। এখন কর্তব্য একে ধরে রাখা, প্রসারিত করা। কাজটা কঠিন। যে ফরাসী বিপ্লবের স্লোগান ছিল ‘স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব’ – সেই বিপ্লবেও নৃশংসতা হয়েছিল। এমনকি বিপ্লবের সেরা সন্তানরাও গিলোটিনে উঠেছিলেন। কিন্তু শত যন্ত্রণাবিদ্ধ হয়েও বিপ্লব রেখে গেছে তার অমলিন ছাপ। পরের একশো বছর ধরে সেই বিপ্লব প্রতিটি দশকে নতুন কিছু রচনা করেছে পৃথিবীর ইতিহাসে। স্বপ্ন দেখি, বাংলাদেশ বিপ্লবও তাই করবে। নৈরাজ্যের চিৎকারে বিধ্বস্ত হয়েও মনে হয় – বিপ্লব তো কখনো পেলব, কোমল, নমনীয়, মনোহর নয়। সে জটিল, বহুরৈখিক, ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ, সংঘাতে দীর্ণ। বাংলাদেশ উজ্জ্বল ভবিষ্যতের অপেক্ষায়। বাংলাদেশ যে গণঅভ্যুত্থান দেখেছে, তা শেষ হয়নি, সবে শুরু হয়েছে। তার প্রথম পর্যায় শেষ হয়ে দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়েছে মাত্র। এই অভ্যুত্থানের বিপুল প্রাণশক্তি ও অমিত সম্ভাবনাকে খারিজ করার কোনো সুযোগ নেই।


২৯ জুলাই, ২০২৪ নাগরিক.নেট এ প্রকাশিত
https://nagorik.net/politics/international-politics/where-is-post-hasina-bangladesh-heading/