ফরহাদ। নাট্যকর্মীরা তাকে চিনত আকাশ নামে। নিজেও নিবেদিত নাট্যামোদী। নগর চট্টগ্রামে প্রায় সকল নাটকের নিয়মিত দর্শক।
বছর কয়েক আগে তাকে নগরীর একটি নাটকের দল নিয়মিত নাটকের দর্শক হিসেবেও পুরষ্কারে ভুষিত করেছিল। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ফরহাদ তখন স্কুলের ছাত্র। মোগলটুলী – পচ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় সক্রিয় ছাত্র ইউনিয়ন কর্মী হিসেবে তার সাথে আমার পরিচয়। ফরহাদ এর নাটকের সাথে সংযোগ ছাত্র ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক স্কোয়াডের মাধ্যমে। শুধু নাটক দেখতেই সে ঘুরে বেড়িয়েছে ঢাক- দিল্লি – বিহার। বয়স ৫০ ছুঁই ছুঁই।
জীবনের ভেলায় ভেসে আমরা ছিটকে পড়েছি নানান কাজে। রাজনীতিতে ফরহাদ আর সক্রিয় ছিলনা। ছিলাম না আমরা আরো অনেকেই। কিন্তু, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলের সাথে তার ভালোবাসার সেই যে শুরু, আমৃত্যু তা ছিল অব্যাহত। নাটক দেখতে গিয়ে সর্বশেষ আমার সাথে দেখা তার। গেল নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে শিল্পকলার মাঠে। তার সাথে এমনই আকষ্মিক দেখা হত শহরের নানান প্রান্তে। ২০১৬ সালে চট্টগ্রাম শহরে প্রাক্তন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানেও সে অংশ নিয়েছিল। আকষ্মিক এক সড়ক দূর্ঘটনায় ফরহাদ আকাশের ঠিকানায় চলে গেছে।
আজ ফরহাদ নেই। তাকে ছাত্র ইউনিয়নে সংযুক্ত করেছিল একরামুল হক আকবর। বহুকাল হয়, আকবরের সাথে দেখা নেই। আমাদের যৌবনের স্বাপ্নিক তরুণেরা যেখানেই থাকুক, ভালো থাকুক।
বিদায় ফরহাদ। বিদায় আকাশ। অনেক অনেক ভালোবাসা।
ফেব্রুয়ারী ১৫, ২০২৩