“ভেনিস মানুষের তৈরী সবচেয়ে সুন্দর শহর” -নিউইয়র্ক টাইমস

জুন ৪, ২০২৩

অনেক নামে ভেনিসকে ভূত করা হয়। কুইন অফ আাড্রিয়াট্টিক , সিটি অফ ওয়াটার, সিটি অফ ব্রিজেস, সিটি অফ ক্যানাল, ভাসমান নগরী। জলপথ, অসংখ্য খাল ও ৪০০ ব্রিজ দ্বারা পরষ্পর সংযুক্ত ১১৮ টি দ্বীপ নিয়ে ভেনিসের জলমগ্ন অপূর্ব সুন্দর অংশটি। ৫৫,০০০ অধিবাসী, কারখানা, ডক ইয়ার্ড, কবরস্থান, হোটেল রেস্তোরাঁ, চার্চ, মিউজিক শো, বহু রঙে রঙিন বাড়িঘর নিয়ে ভেনিস।

প্রতিদিন উপচে পড়া পর্যটকদের ভীড়। যাতায়াতের জন্য রয়েছে অজস্র গন্ডোলা ( নৌকা), স্পিডবোট, ওয়াটার বাস, ফেরিঘাট, ক্রুজ শিপ। রয়েছে অজস্র নৌযান এর পার্কিং। নৌযান মেরামতের জন্য ডকইয়ার্ড। রিফুয়েলিং স্টেশন। নৌপথ দৃশ্যমান করতে আর শৃঙ্খলা রাখতে তিনটি করে গাছের গুড়ি ট্রাইপড এর মত বেঁধে রাখা। হাজারো মানুষের ভীড়েও জল অনেকটা পরিষ্কার।

নানান পদের রেস্তোরাঁ, বার, মিউজিক, কোলাহলে সারা দিনমান সরগরম। সকাল থেকে রাত অবধি নিত্য জাগে ভেনিস। রয়েছে ওয়াটার এম্বুলেন্স সেবা। এর মধ্যেই নানান দ্বীপে বাসা বাড়ি, অফিস। নিরাপদে নৌযানে ওঠার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ওয়াটার টার্মিনাল। ফেরিঘাট।

সারা দিনের জন্য, সারা সপ্তাহ বা মাসের জন্য কেটে রাখা যায় ওয়াটার বাসের টিকেট। এ বাড়ি- সে বাড়ি, এপাড়া – ওপাড়ার পাশ দিয়ে মৃদু ছন্দে ঢেউ তুলে যায় গন্ডোলা। স্টাইলিশ, ফ্যাশন দুরস্ত, দারুণ স্ফূর্তিবান গন্ডোলার মাঝিরা। এখন সামার শুরু হয়েছে। বসন সংক্ষিপ্ত হতে চলেছে।

মাঝে মাঝেই দ্রুত গতির স্পীডবোট ছুটে যায় জলের ঝংকার তুলে। রয়েছে বিলাসী বাহন ইয়ট। চাইলে থাকা যায় দ্বীপের মাঝে হোটেলেও। বাড়ির সামনে বা পিছনের দরজা মেলতেই ক্যানাল ( খাল)। বেলকনিতে দাঁড়িয়ে, হাত বাড়ানো দুরত্বে ক্যানাল। আর গন্ডোলা যেন ক্যানালের মাঝে হাঁসের মত ঘুরে বেড়ায়। ওয়াটার বাস গণ পরিবহন। আর গন্ডোলা হল ব্যক্তিগত ট্যাক্সি। কাজেই ভাড়াও গুণতে হবে অনেক বেশী। দ্বীপের বাসিন্দাদের অনেকের রয়েছে নিজস্ব নৌযান। বিশেষতঃ স্পিডবোট।

ভেনিসের মেইন ল্যান্ড স্থলভূমি। কিন্তু, ভেনিসের ট্যুরিজম এর প্রধান আকর্ষণ তার জলে জেগে থাকা দ্বীপ। ১৯৮৭ সালে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভেনিসকে ঘোষণা করে। বহুবার বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নগরীর সম্মানে সিক্ত ভেনিস ভ্রমণ মানব জনমের জন্য দারুণ এক অভিজ্ঞতা।